সম্প্রতি সামনে এসেছে ভারতীয় দলের ফাস্ট বোলার উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) সঙ্গে ৪৪ লাখ টাকার প্রতারণার ঘটনার খবর। পুলিশ জানিয়েছে, নাগপুরে জমি কেনার নামে যাদবকে তার প্রাক্তন ম্যানেজার এবং বন্ধু প্রতারিত করেছেন।
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন যে উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) অভিযোগের পরে, পুলিশ নাগপুর-ভিত্তিক শৈলেশ ঠাকরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। শৈলেশ ঠাকরে কোরাডির বাসিন্দা এবং তিনি উমেশের বন্ধু ছিলেন। শৈলেশকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
শৈলেশ ঠাকরে ধীরে ধীরে উমেশ যাদবের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন এবং উমেশ যাদবের সমস্ত আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতে শুরু করেন। তিনি এই তারকা ক্রিকেটারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আয়কর এবং অন্যান্য আর্থিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন।
ঠাকরে একটি এলাকায় একটি প্লট দেখেছিলেন এবং উমেশ যাদবকে বলেছিলেন যে তিনি এটি চুয়াল্লিশ লক্ষ টাকায় কিনতে পারেন এবং তিনি সেই পরিমাণটি ঠাকরের অ্যাকাউন্টে জমাও করেছিলেন। কিন্তু ঠাকরে প্লটটি নিজের নামে কেনেন। পরে উমেশ যাদব সেই প্লট নিজের নামে চাইলে সেটি দিতে অস্বীকার করেন ক্রিকেটারের বন্ধু। এরপরেই পুলিশে নালিশ করেন উমেশ যাদব।
এফআইআর থেকে উদ্ধৃত পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন যে উমেশ যাদব (Umesh Yadav) ভারতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার পরে তার এই বেকার বন্ধু শৈলেশ ঠাকরেকে ১৫ জুলাই, ২০১৪-এ ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। ঠাকরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উমেশের আস্থা অর্জন করেন। শৈলেশ ফাস্ট বোলারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আয়কর সহ অর্থ সংক্রান্ত সব কাজ দেখাশোনা শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছিল যে উমেশ যাদব নাগপুরে জমি কিনতে চেয়েছিলেন এবং তিনি শৈলেশকে তা জানিয়েছিলেন। ঠাকরে একটি অনুর্বর এলাকায় একটি প্লট দেখেন এবং উমেশকে বলেন যে এটি চুয়াল্লিশ লক্ষ টাকায় পাওয়া যাবে। ঠাকরের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন উমেশ যাদব। কিন্তু ঠাকরে এই প্লট নিজের নামে কিনে নেন।
আরও পড়ুনঃ IND vs NZ 2023 : শুভমান গিলের নতুন নাম দিলেন সুনীল গাভাস্কার
উমেশ যাদব (Umesh Yadav) এই প্রতারণার কথা জানতে পেরে শৈলেশ ঠাকরেকে টাকা ফেরত দিতে বলেন। জবাবে শৈলেশ তা করতে অস্বীকার হন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শৈলেশ ভারতীয় ক্রিকেটারকে টাকা ফেরত দিতে রাজি হননি। পুলিশ কর্তা বলেন-
“ফাস্ট বোলার উমেশ যাদব কোরাডিতে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন, যেখানে আইপিসির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।”
ভারতীয় ফাস্ট বোলার উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) সঙ্গে চুয়াল্লিশ লক্ষ টাকার প্রতারণা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।