Kapil Dev – ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়। তারপর দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১১ সালে একদিনের ক্রিকেটে ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়। এবার ফের একবার ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে। ২০২৩ ফের বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি রয়েছে ভারতের সামনে। গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদলে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
৮০-র দশকে খাদের ধার থেকে ফিরে আসা ভারতীয় ক্রিকেট (Kapil Dev) এবং বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে অনেকটাই তফাৎ। এই যাত্রাপথে এসেছেন অনেক নামী দামী ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বদল ঘটেছে ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতির।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রজন্মের মাধ্যমে ভারত বিশ্বস্তরে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি ৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক কপিল দেবকে (Kapil Dev) এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন –
“প্রত্যেকটি প্রজন্মে এক-দুজন করে সুপারস্টার থাকবে। সবাইকে হয়তো সেই দলে রাখা যাবে না। তবে কয়েকজন উচ্চমানের ক্রিকেটার পাওয়া যাবে।”
৭০ এবং ৮০-র দশকে সুনীল গাভাস্কার, তারপরে সচিন তেন্ডুলকর ও ফ্যাব ফাইভ। এখন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা – তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে কারা আছে এই প্রশ্ন কপিল দেবকে (Kapil Dev) করা হলে তিনি তার উত্তর দেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়। (Indian Cricket) তিনি বলেন –
“প্রতিটি প্রজন্মে কেউ না কেউ ভালো ক্রিকেটার উঠে আসে। আমাদের সময়ের, সুনীল গাভাস্কার একজন সেরা ক্রিকেটার ছিল। এরপর আমরা দেখেছি রাহুল দ্রাবিড়, সচিন এবং বীরেন্দ্র শেহয়াগকে উঠে আসতে। বর্তমান প্রজন্মে দেখছি রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে। পরবর্তী প্রজন্মে আরও ভালো ক্রিকেটার উঠে আসতে দেখতে পারবো আমরা। শুধু তাই নয়, আরও ভালো ক্রিকেট আমরা দেখতে পারবো।”
এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে (Kapil Dev) সচিন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলির মধ্যে সেরাকে বেছে নিতে বলা হলে তিনি বলেন –
“প্রত্যেকটি ক্রিকেটার তার নিজস্ব যোগ্যতায় উঠে আসে এবং সবার মন জয় করে। যত ভালো খেলবে ততই জনপ্রিয় হবে। প্রত্যেক প্রজন্ম একটা করে নতুন সুপারস্টার তৈরি করে। সচিন তার সময় সেরা ছিল। এখন কোহলি রোহিতরা খেলছে। আগামীতে নতুন প্রজন্ম আসবে তারা অন্যরকম করবে। প্রতিটি প্রজন্মেই নতুন নতুন ক্রিকেটার উঠে আসবে।”
তিনি (Kapil Dev) আরও বলেন –
“ওরকম মাপের খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে একজন বা দুজন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া ঠিক হবে না। ক্রিকেট ১১ জন দলের একটা খেলা। সেই সময় সব ম্যাচের ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্লেয়ারের অবদান থাকে। কেউ কেউ খুব ভালো করে সেটা আলাদা বিষয়।”
কোহলি ও সচিনের মধ্যে কে সেরা ক্রিকেটার ? সেই বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলছে। সমর্থকরা তাতে মজাও খুঁজে পাচ্ছেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিরাটের ব্যাটে রানের খরা থাকায় সেই বিতর্ক কিছুটা চাপা পড়েছিল। কিন্তু ফের বিরাটের ব্যাট জ্বলে ওঠায় সেই আলোচনা ফিরে এসেছে।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট তার শেষ ছয়টি একদিনের ইনিংসে তিনটিতে সেঞ্চুরি সংগ্রহ করেছেন। (Indian Cricket) সচিন তেন্ডুলকরের করা একদিনের ক্রিকেটে ৪৯টি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিনটি সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে রয়েছেন কিং কোহলি।