
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে সম্প্রতি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরে পাক ক্রিকেট দলে বিশেষ রদবদল চোখে পড়নি। তবে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে বোর্ডে। রামিজ রাজা’কে (Ramiz Raja) সরিয়ে পিসিবি’র নয়া চেয়ারম্যান হয়েছেন নাজাম শেঠি। মহম্মদ ওয়াসিমের বদলে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচকপ্রধান হয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি।
তবে তার প্রাথমিক প্রভাব অবশ্য দেখা গিয়েছে পাকিস্তান দলের মধ্যেও। মহম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকা খেলোয়াড়’কে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিদি’র পছন্দের বলেই দীর্ঘদিন পরে ফের টেস্ট জার্সি’তে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন সরফরাজ আহমেদ।
পান থেকে চুন খসলেই বাবর আজম’দের পারফর্ম্যান্স নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায় ওদেশের ক্রিকেটমহলে। তবে সমালোচনার অন্ত নেই প্রশাসক ও নির্বাচক’দের নিয়েও।
অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসিবি কর্তা ও নির্বাচক’দের নিয়ে সমালোচনা করায় একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এবার রামিজ রাজা (Ramiz Raja) বোর্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই ফের তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার’দের।
এবার পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার ওয়াহাব রিয়াজ‘ও তাদের দলেই নাম লেখালেন, যারা সরাসরি রামিজ রাজা’র (Ramiz Raja) কাজে অখুশি ছিলেন এবং তার বিদায়ে আপ্লুত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে Samaa TV-র আলোচনায় রিয়াজ দাবি করেন যে, রামিজ রাজা’কে (Ramiz Raja) তিনি বহুবার মেসেজ করেছেন। তবে তিনি একবারের জন্যও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।
রিয়াজ এও দাবি করেন যে, জাতীয় নির্বাচক’রা ভাবেন ৩০ পেরোলেই কোনও ক্রিকেটার পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার যোগ্য নন। এতে নাকি দলের একতা ও পারফর্ম্যান্সে প্রভাব পড়বে।
রিজায় বলেন –
“আমি একজন বোর্ড সদস্যের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি জানিয়েছেন যে, রামিজ রাজা চলে যাওয়ায় খুশি হয়েছেন তিনি। সুতরাং, তার (Ramiz Raja) অধীনে যারা কাজ করতেন, তারাই খুশি ছিলেন না ওনার কাজকর্মে। রামিজ ভাই চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমি ৪-৫ বার তাকে মেজেস করেছিলাম। লিখেছিলাম যে, আমি তার মেজেস বা ফোন কলের অপেক্ষা করছি। কিন্তু উনি কখনই রিপ্লাই দেননি। কেন ? আমি তো এখনও বর্তমান ক্রিকেটার। আমি এখনও অবসর নিইনি। তাহলে এরম ব্যবহার কেন ?”
এর পরক্ষণেই সদ্য প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান মহম্মদ ওয়াসিম’কে কাঠগড়ায় তোলেন রিয়াজ। তিনি বলেন –
“৩০ পেরোলেই কাউকে পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য আনফিট মনে করা হয়। ওনারা বলেন এতে নাকি দলের একতা নষ্ট হবে এবং পারফর্ম্যান্সে প্রভাব পড়বে। ওনারা যাদের নির্বাচিত করেছেন, তাদের মধ্যে কে ভালো পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছে বলতে পারবেন ? আমার মনে হয় না রামিজ রাজা’দের আমলে ওই সব প্লেয়ার’দের মতো এত সুযোগ আর কেউ পেয়েছে বলে।
আমরা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য ২ টির বেশি ম্যাচ পাইনি। তার পরেও নির্বাচক প্রধান বুক ফুলিয়ে বলেন, এই দলটা আপনাদের অনেক খুশি উপহার দিয়েছে। এর মানে টা কী !”