
ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket) চোট-আঘাত সমস্যা ক্রমশ একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের চোট যেন চাপ বাড়াচ্ছে অহরহই। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোট ভারতের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পিঠের চোটের কারণে দীর্ঘ দিন তিনি জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন।
এরপর ২০২২’এর আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক এবং প্লেয়ার হিসেবে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন হার্দিক। তারপর তিনি জাতীয় দলে (Indian Cricket) ফের জায়গা করে নেন।
এখন জসপ্রীত বুমরাহ’র চোট আরও একটি বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চোটের কারণে তিনি এশিয়া কাপ খেলতে পারেননি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করেছেন। তার দলে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা জারি। এই চোট নিয়ে ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬-বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার ছিল কপিলের। অথচ তিনি তুলনামূলক ভাবে চোট-আঘাত কম পেয়েছেন। সম্প্রতি গাল্ফ নিউজে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দায়ি করেছেন, ক্রিকেটের বর্ধিত মরশুমকে, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া এবং তারপরে টি-টোয়েন্টি লিগ রয়েছে। ক্রিকেটাররা যে কারণে বেশি চোটপ্রবণ হয়ে পড়ছেন। (Indian Cricket)
তিনি বলেছেন,
“এখন একটি মরশুম চলে প্রায় ১০ মাসের বেশি সময় ধরে। যত বেশি খেলবে প্লেয়াররা, তত চোট বাড়বে। ক্রিকেট সহজ খেলা নয়। প্লেয়ারদের অ্যাথলেটিকদের মতো ফিটনেস দরকার। সমস্ত পেশীর ব্যবহার ঠিক করে করতে হবে এবং সেটা বিভিন্ন মাঠে যেকোনও পরিস্থিতিতে। সেই পরিস্থিতি সহজ হোক বা কঠিন, খেলে যেতে হয়। সব কিছু মানিয়ে নেওয়া এত সহজ নয়। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। যে কারণে চোট বেশি হচ্ছে।“
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK : আমেরিকায় টি টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত – পাকিস্তান, জানুন বিস্তারিত
ভারতীয় দলে (Indian Cricket) পেস বোলারদের ইনজুরির বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, কপিল উল্লেখ করেছেন যে, ফাস্ট বোলারদের নেটে আরও বেশি বল করতে হবে। যার ফলে ম্যাচের সময় সরাসরি চাপ নেওয়ার পরিবর্তে, আগে থেকেই তাদের শরীর প্রস্তুত থাকবে। বর্তমান প্রজন্মের একজন ফাস্ট বোলার নেটে মাত্র ৩০টি বল করেন, এই বিষয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
কপিল আরও বলেছেন,
“আপনি যত বেশি নেটে বল করবেন, তত বেশি আপনার পেশীর বিকাশ হবে। এখনকার দিনে পেসারদের মাত্র ৩০ টি করে বল করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা একটা বড় কারণ। প্রফেশনাল লেভেলে খেলার জন্য তারা যখন এত চাপ নেয়, তখন শরীরে ফাটল ধরতে থাকে। তাদের অন্য যেকোনও কিছুর চেয়ে বেশি বল করতে হবে।“
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দল (Indian Cricket) এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলছে। তারা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সিরিজে ২-০ ব্যাবধানে এগিয়ে গিয়েছে। এখনও একটি ম্যাচ বাকি সিরিজের। সেই ম্যাচটি আগামী ২৪ শে জানুয়ারি ইন্দোরে খেলা হবে। সেই ম্যাচ জিতে কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করাই টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য। এই ম্যাচ জিতলে ভারত আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসবে।