IND vs NZ 2023 – একাধিক বিশ্বমানের ব্যাটার উঠে আসছে ভারতে, এটা খালি সম্ভব হচ্ছে সেদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্যে। ভারতের পক্ষে বড়ো ফর্ম্যাটে লম্বা সময়ের খেলার মানসিকতার অধিকারী ক্রিকেটার উঠে এসেছে প্রচুর। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট’কে গুরুত্ব সহকারে দেখা।
হায়দ্রাবাদে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শুভমান গিল পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডবল সেঞ্চুরি করার নজির গড়েছিলেন। সলমন বাট মনে করেন পাকিস্তান’কেও সাফল্য পেতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে হবে। (IND vs NZ 2023)
This is what dreams are made of 💙🇮🇳🇮🇳 pic.twitter.com/rD3n4aHvfz
— Shubman Gill (@ShubmanGill) January 19, 2023
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে সলমন বাট ভারতের ক্রিকেট (IND vs NZ 2023) সম্পর্কে বক্তব্য রাখাকালীণ বলেছেন –
“পাকিস্তান দল জয়ের জন্যে রানতাড়া করা কালীণ খুব সমস্যায় পড়ে। যদিও অনেক সময় জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরী করে ফেলে ঠিকই। তাই ভারতের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে পাকিস্তান কে ভালো কিছু করতে হলে। এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে যেখানে খেলে দেশের যুব ক্রিকেটারেরা সমৃদ্ধ করতে পারবে নিজেকে। ৫-১০ বছর যদি এই রকম ভাবে চলা যায়, তাহলে এই স্কিল অটোমেটিক আয়ত্ত করে নিতে পারবে এই যুব ক্রিকেটারেরা।”
বাট আরো বলেন –
“ভারতের এতো ক্রিকেটার ওয়ানডেতে দুশো করে ফেলেছে, তার অন্যতম কারণ সেখানকার জুনিয়র লেভেল ক্রিকেট এমন শক্তিশালী। সেখানকার ব্যাটার’রা লম্বা সময়ের জন্য খেলার সুযোগ পায়। সময় নিয়ে কোনও চাপ নেই, তাই নানান শট খেলতে পারে, সেট হতে সময় পায়।”
আরও পড়ুনঃ WIPL 2023 : মহিলাদের আইপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই
কেরিয়ারের শুরুর দিকেই টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার উপর জোর দেওয়া হয় পাকিস্তানে। তাই Longer Format এ সেই দেশ কোনো সফলতা পায় না বলেই মত সলমন বাটের। তাই সব সময় একটা Right Process এর মধ্যে থাকাটা খুবই জরুরি বলেই মনে করেন সলমন বাট। তার বক্তব্য –
“আমাদের ব্যাটার’রা হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যাচ্ছে, এর কারণ আমাদের এখানে টি টোয়েন্টি ক্রিকেট’কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। জুনিয়র এবং ইউনিভার্সিটি লেভেলে বেশি টি টোয়েন্টি খেলা হয়, তাই লম্বা ফর্ম্যাটে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে তাদের সেই খেলার স্কিল টাই নেই। গিল ওমন খেলতে পেরেছে, কারণ ওইরকম একটা প্রসেসের মধ্যে ও বহুদিন ধরে আছে।”
সলমন বাট পরামর্শ দেওয়ার পর কোনও বদল আসে কিনা পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিকাঠামোয় সেটা সময়’ই বলবে।