
ভারতে চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের এই আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ভারতের যে ২০ জন ক্রিকেটারের একটি তালিকা সদ্য গঠিত হয়েছে, আগামী কয়েক মাস পর্যন্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই কুড়ি জন ক্রিকেটার’দেরই ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে খেলানো হবে।
পাশাপাশি নতুন বছরে ১০ দলের আইপিএলে এই ২০ জন ক্রিকেটার’রাও থাকবেন। তাই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবার আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি’র সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। মাল্টি নেশন টুর্নামেন্টে ব্য়র্থতার জেরে এক পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। সেই বৈঠকেই ক্রিকেটার’দের ওয়ার্কলোড এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
আর আইপিএলের পারফর্ম্যান্সের জেরে জাতীয় দলের দরজা যে সহজে খুলবে না, সে বিষয়েও জানিয়েছেন বোর্ড সেক্রেটারি জয় শাহ।
বিসিসিআইয়ের (BCCI) ওই মিটিংয়ে বোর্ডের তরফে টিম ম্য়ানেজমেন্ট’কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে উঠতি প্রতিভাদের জন্য আইপিএলের পারফর্ম্যান্সই মাপকাঠি হবে না। বরং তাদের পর্যাপ্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। তারপরই তাদের জাতীয় দলের জন্য় ভাবা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইতে হওয়া বিসিসিআইয়ের সেই পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড সভাপতি রজার বিনি, সচিব জয় শাহ, ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি’র প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং বিদায়ী দল নির্বাচন কমিটি’র প্রধান চেতন শর্মা।
ওই বৈঠকের পর জয় শাহ বলেছেন –
“বিসিসিআই ২০ জন ক্রিকেটার’কে বেছে নিয়েছে। যাদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হবে।”
পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, ওই ২০ জন ক্রিকেটারের পাশাপাশি বাকি ক্রিকেটার’দের জন্যও বিশ্বকাপের পথ খুলতে পারে, যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা নজরকাড়া পারফর্ম করতে পারেন।
দেশের মাটিতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় এখন থেকেই কাজে নেমে পড়েছে বিসিসিআই। ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার পাশাপাশি কোন ক্রিকেটার কতোটা ফিট, সব দিকেই নজর রাখবে বোর্ড (BCCI)।
ভারতীয় ক্রিকেটার’দের জন্য় ইয়ো ইয়ো টেস্ট এবং ডেক্সা স্ক্যান বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত, বোর্ডের (BCCI) চুক্তি’তে থাকা ক্রিকেটার’দের যেকোনও সিরিজের জন্য দলে নেওয়ার আগে এই পরীক্ষাগুলো করাতেই হবে। ফিউচার টুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী এবছর ঠাসা ক্রীড়াসূচি রয়েছে ভারতের। তার মাঝেই রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ’ও। সব দিক মাথায় রেখেই তেইশের সমস্ত ক্রীড়াসূচি সাজিয়ে নিতে চাইছে বিসিসিআই।