আগামী বছর এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) খেলতে পাকিস্তানে যাবেনা ভারত, বিসিসিআই সেক্রেটারি জয়শাহের এহেন মন্তব্য গোটা পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে দাবানল ছড়িয়েছে।
পরে পাকিস্তানের একটি চ্যানেলের লাইভ সেশনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রামিজ রাজা। সেখানে এক সাংবাদিক রামিজ রাজার কাছে জানতে চান এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি’তে সরে যাওয়ার বিষয়, সাংবাদিকের প্রশ্নে রাজা যে একেবারেই খুশি নন, সেটা তার অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট ছিলো। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে পিসিবি প্রেসিডেন্ট ওই সাংবাদিক’কে এতো দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বারণ করেন, এবং ইতিবাচক থাকার পরামর্শ দেন (Asia Cup 2023)। তিনি বলেন –
“এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরছেনা। আপনার কি হয়েছে বলুন তো ? এতো নেতিবাচক কেনো আপনারা ? ভারতের ইচ্ছামতো সবকিছু চলতে পারেনা। পাকিস্তানের নিজস্ব ঐতিহ্য আছে।”
King Ramiz Raja #RamizRaja #AsiaCup2023 #Cricket #India #PakistanZindabad pic.twitter.com/sPHa6UUqdn
— Kifayat Ali (@KiffayatAli) October 19, 2022
The PCB has reacted strongly to Secretary BCCI, who is also son of Indian Home Minister Amit Shah, Jay Shah's remarks about Indian team not traveling to Pakistan for the Asia Cup next year.#Pakistan #India pic.twitter.com/1CZg54mUBw
— Grassroots Cricket (@grassrootscric) October 19, 2022
সদ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাধারণ বার্ষিক সভার শেষে বিসিসিআই সেক্রেটারি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জয় শাহ জানিয়েছিলেন ভারতের পক্ষে পাকিস্তানে গিয়ে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়, Cricbuzz – এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বলেছেন –
“নিরপেক্ষ মাঠেই এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা কোনও ভাবেই পাকিস্তানে যাবোনা। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা নিরপেক্ষ মাঠেই খেলবো।”
শাহের এমন মন্তব্য একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল (Asia Cup 2023)। এমনকি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড ২০২৩ সালে ভারতে ওডিআই বিশ্বকাপে খেলতে আসার বিষয় ভাবনা চিন্তা করবে বলে জানায়। বিবৃতিতে লেখা ছিলো –
“ACC প্রেসিডেন্ট জয় শাহের করা মন্তব্য অবাক এবং হতাশ, দুটোই করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড’কে। জয় শাহের এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অথবা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’কে সম্পূর্ণে আধারে রেখে। এর দীর্ঘ মেয়াদী ফলাফল কি হতে পারে সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ পাননি তিনি।
এসিসি’র মিটিংয়ে সকল সদস্যদের সমর্থনে পাকিস্তান ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের বরাত পেয়েছিলো। কিন্তু মি: শাহ যা করলেন তা ১৯৮৩ সালে স্থাপিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের দর্শনের সম্পূর্ণ ভিন্ন বলা যায়, যেখানে এই কাউন্সিলের অন্যতম কাজটাই ছিলো গোটা এশিয়া জুড়ে ক্রিকেটের প্রসার ঘটানো।
এমন মন্তব্যের ফলে এশিয়ান এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিভাজন রেখা তৈরী করতে পারে। এরফলে ২০২৩ সালে ভারতে আয়োজিত হতে চলা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ -২০৩১ আইসিসি ক্রিয়াকর্মে যুক্ত আইসিসি ইভেন্ট গুলো’তে ভারতে যাওয়ার বিষয় পাকিস্তান ভাবনা চিন্তা করবে এরপর।”
আগামী ২৩ শে অক্টোবর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারত – পাকিস্তান মুখোমুখি হতে চলেছে টি ২০ বিশ্বকাপের মেগাম্যাচে।
আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2022 : জোসেফ – হোল্ডারের আগুনে পেসে জিম্বাবোয়ে’কে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ