গত মরশুমের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন ভারতের পেসার উমরান মালিক (Umran Malik)। তার ভিত্তিতে জাতীয় দলে সু্যোগ পান। জাতীয় দলের জার্সি গায়েও উমরানের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। ২০২১ সালে কোভিড ১৯ রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে সুযোগ পান উমরান। তারপর সুযোগ পেতে নিজের ঝলক দেখান। বিপক্ষের ব্যাটারদের ঝড়ের গতিতে বোলিং করে মারাত্মক সমস্যায় ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
তবে নজরকাড়া বোলিং করলেও, উমরানের (Umran Malik) সমস্যা প্রচুর রান দিয়ে ফেলেন। লাইন এবং লেংথেও সমস্যা ছিলো। কিন্তু এখন নিজেকে অনেকটা শুধরেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে তার বোলিং পারফরম্যান্সের উন্নতি চোখে পড়েছে। এমন সময় প্রাক্তন পাকিস্তানের ক্রিকেটার আকিব জাভেদ বলেছেন উমরান মালিক হারিস রাউফের মতো ফিট নন।
আকিব জাভেদের মতে উমরান মালিকের (Umran Malik) স্পিড ড্রপিংয়ের সমস্যা আছে। দেড়শোর গতিতে বল করা শুরু করলেও, পরের দিকে সেই গতি ধরে রাখতে পারেন না তিনি, যেখানে রাউফ তার ডায়েট, রুটিন এবং ট্রেনিং সবেতেই খুব মেনটেন করে চলে। রাউফের সাথে উমরানের তুলনা করা মানে বিরাট কোহলির সাথে অন্যান্য ব্যাটারের তুলনা করা।
আরও পড়ুনঃ Indian Cricket Team : নিজের বইতে ধোনি-শাস্ত্রীর অজানা তথ্য ফাঁস করলেন আর শ্রীধর
“হারিস রাউফের মতো উমরান মালিক এতো ট্রেনড এবং ফিট নয়। ওয়ানডেতে ওর বোলিং করার গতি দেখো, দেড়শোর গতিতে বল করা শুরু করলেও সাত, আট ওভার থেকে ওর বল করার গতি কমতে থাকে। এই ফারাক অনেকটা বিরাট কোহলির সাথে বিশ্বের বাকি ব্যাটারদের তুলনা করা। নিজের ডায়েট, ট্রেনিং এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে খুব ডিসিপ্লিনড হারিস রাউফ, আমি আর একটাও পাকিস্তানের বোলার দেখিনি যার ডায়েট রাউফের মতো। ওর মতো কারোর লাইফস্টাইল নেই। ১৬০ এর গতিতে বল করাটাকে আমি বড়ো বিষয় বলে মনে করিনা, কিন্তু ওই একই গতিতে বলটা করে যাওয়াটাই বড়ো বিষয়।”
– আকিব জাভেদ।
২০২২ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে পাকিস্তানের সেরা বোলার ছিলো হারিস রাউফ। ভারতের সাদা বলের ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে উমরান (Umran Malik) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেয়, শ্রীলঙ্কা’র ৫ উইকেট নেন।